বিশেষ প্রতিনিধি:
নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। চিকিৎসকসহ বিভিন্ন পদে জনবল সংকট, যন্ত্রাংশ অচল, বৈদ্যুতিক সমস্যাসহ নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে। ভবনে ধরেছে ফাটল। কমপ্লেক্সের প্রধান কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলেছেন কর্মরতরা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দীর্ঘ ১০ বছর ধরে এক্সরে মেশিন, ডেন্টাল চেয়ার বন্ধ, চালকের অভাবে এম্বুলেন্স সেবা থেকে বঞ্চিত সাধারণ মানুষ। চন্দনাইশ ও দোহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ চক্ষু জুনিয়র কন্সল্যান্ট, ১ সার্জারি জুনিয়র কন্সল্যান্টসহ ৫ জন মেডিকেল অফিসার, প্যাথলজিস্ট, স্টোর কিপার, সাব সেন্টারে ৫ ফার্মাসিস্ট, ১০ এনএসএস, ১০ মিডওয়ে নার্স, ১ ওয়ার্ড বয়, ১ নাইট গার্ডের পদ খালি রয়েছে। জরুরি বিভাগে উপ-সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল কর্মকর্তা ২ জন থাকার কারণে বিরতিহীন ১২ ঘন্টা করে অব ডে না নিয়ে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। ২০১০ সালে ২৮ সেপ্টেম্বর চন্দনাইশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওবাইদুল হক স্টোর কিপার হিসেবে যোগদান করার দীর্ঘ ১৪ বছর পর গত ২৭ আগস্ট প্রশাসনিক কারণে তাকে মিরসরাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলি করা হয়। কিন্তু তিনি সেখানে যোগদান করেও অদ্যবদি চন্দনাইশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবাদে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। বিভিন্নভাবে তদবির করে পুণরায় চন্দনাইশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলি হয়ে আসার চেষ্টা করছেন বলে জানা যায়।
অপরদিকে সরকার পরিবর্তনের পর রাজনৈতিক কারণে এমটিইপিআই আকতারুজ্জামান রবিউল, ফার্মাসিস্ট মাঈন উদ্দীন হাসান, ওয়ার্ড বয় কৃষ্ণ চক্রবর্তী, জুনিয়র ম্যাকানিক পিযুষ চক্রবর্তী, নাইট গার্ড বেলাল উদ্দীন বদলি নিয়ে চলে যান। বর্তমানে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও চিকিৎসকদের মধ্যে অনেকে স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. আবদুল্লাহ আল ইরফান বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলেন। এদিকে হাসপাতাল ভবনের ছাদ কসে পড়ে রড দেখা গেলেও সংস্কারের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে না। হাসপাতাল ভবনে বৈদ্যুতিক লাইন দীর্ঘ সময় ধরে নষ্ট হওয়ার কারণে বিভিন্ন সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে।
এ ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তেমন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য চলতি অর্থ বছরে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও হাসপাতালের আশেপাশে ময়লা আবর্জনায় ভরা রয়েছে। কম্পিউটার মেরামতের জন্য ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, ২ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এম্বুলেন্স ব্যবহারের জন্য প্রায় ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কিন্তু চালক না থাকার কারণে এম্বুলেন্স ব্যবহার হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন রোগীর স্বজনেরা। সকল ব্যাপারে স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. আবদুল্লাহ আল ইরফানের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply